ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরআনের আলোকে নারীর পোশাক ও পুরুষের দৃষ্টির সংযম

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় : ১০-১০-২০২৪ ১০:১৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ১২-১০-২০২৪ ১১:৫১:২৭ অপরাহ্ন
কোরআনের আলোকে নারীর পোশাক ও পুরুষের দৃষ্টির সংযম
নারীর শালীনতা ও পুরুষের দৃষ্টির হেফাজত: ইসলামের নির্দেশনা
ইসলামে শালীনতা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নারীর শালীনতা এবং পুরুষের দৃষ্টির সংযম ইসলামী জীবনধারার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কোরআনে মহান আল্লাহ স্পষ্টভাবে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য কিছু নিয়ম-কানুন বর্ণনা করেছেন যা তাদের জীবনে শালীনতা ও সংযম বজায় রাখতে সহায়তা করে।

নারীর শালীনতা ও পোশাক:
কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
"হে নবী, আপনি মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশিত হয় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।"
(সূরা আন-নূর, আয়াত ৩১)

এই নির্দেশনার মাধ্যমে নারীদেরকে বলা হয়েছে, তারা যেন শালীন পোশাক পরিধান করে এবং তাদের সৌন্দর্য এমনভাবে প্রকাশ না করে যা পুরুষদের দৃষ্টিকে আকর্ষণ করে। পোশাকের শালীনতা নারীর মর্যাদা রক্ষা করে এবং তাকে সমাজে সম্মানিত স্থানে রাখে।

পুরুষের দৃষ্টির সংযম:
পুরুষদের জন্যও একইরকম সংযমের নির্দেশনা রয়েছে। কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
"মুমিন পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে।"
 (সূরা আন-নূর, আয়াত ৩০)

পুরুষদেরকে বলা হয়েছে যেন তারা নারীদের দিকে অশালীন দৃষ্টিতে না তাকায়। এটি শুধুমাত্র শারীরিক দৃষ্টিকোণের সংযম নয়, বরং মানসিক ও আধ্যাত্মিকভাবে নিজেদের বিশুদ্ধ রাখার উপায়। দৃষ্টির সংযমের মাধ্যমে পুরুষ নিজেকে পাপ থেকে বিরত রাখতে পারে।

শালীনতা ও পবিত্রতা:
শালীনতা ও সংযম শুধু ব্যক্তিগতভাবে নয়, সমাজের পবিত্রতা ও নৈতিকতার উপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, "পবিত্র নারী পবিত্র পুরুষের জন্য এবং পবিত্র পুরুষ পবিত্র নারীর জন্য।"
 (সূরা আন-নূর, আয়াত ২৬)

এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, পবিত্রতা ও শালীনতা ইসলামী সমাজের একটি মূল ভিত্তি। নারীদের শালীন পোশাক ও পুরুষের দৃষ্টির সংযম একটি নৈতিক ও পবিত্র সমাজ গঠনে সহায়ক।

ইসলামের দৃষ্টিতে শালীনতা রক্ষা:
ইসলামের শালীনতার নির্দেশনা শুধুমাত্র বাহ্যিক পোশাক বা আচরণের জন্য নয়। এটি অন্তর্নিহিত আধ্যাত্মিক শুদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধার প্রতিফলন। শালীনতা কেবলমাত্র একটি সামাজিক দায়িত্ব নয়, বরং এটি আল্লাহর কাছে একজন মুসলিমের নিকটবর্তী হওয়ার একটি মাধ্যম।

কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী নারীর শালীনতা ও পুরুষের দৃষ্টির হেফাজত ইসলামী জীবনধারার একটি অপরিহার্য অংশ। এই নির্দেশনাগুলি মান্য করে একজন মুসলিম সমাজে শালীনতা ও সংযমের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ